শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে, বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করল স্টারলিংক (Starlink)। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটি আজ সকালে তাদের অফিসিয়াল X (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দিয়েছে।
স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ডিশ ও সেটআপ প্রসঙ্গে বিস্তারিত:
👉 স্টারলিংকের জন্য স্যাটেলাইট ডিশ কেমন হয়?
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব নিশ্চিত করেছেন যে, গতকাল (সোমবার) বিকেলে টেলিফোনে তাকে জানানো হয়—বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হয়েছে।
স্টারলিংকের বাংলাদেশে অনুমোদন প্রাপ্তির পেছনের গল্প জানতে পড়ুন:
👉 বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক
বাংলাদেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট প্যাকেজ ও খরচ
স্টারলিংক বাংলাদেশে প্রাথমিকভাবে দুটি প্যাকেজ নিয়ে তাদের সেবা চালু করেছে:
-
Starlink Residential
-
মাসিক খরচ: ৬,০০০ টাকা
-
ডেটা লিমিট: নেই (আনলিমিটেড)
-
গতিসীমা: সর্বোচ্চ ৩০০ Mbps
-
-
Starlink Residential Lite
-
মাসিক খরচ: ৪,২০০ টাকা
-
ডেটা লিমিট: নেই (আনলিমিটেড)
-
গতিসীমা: সর্বোচ্চ ৩০০ Mbps
-
📦 উভয় প্যাকেজেই প্রাথমিক যন্ত্রপাতির জন্য এককালীন খরচ: ৪৭,০০০ টাকা
স্টারলিংকের দাম ও প্যাকেজ তুলনামূলক বিশ্লেষণ:
👉 স্টারলিংক ইন্টারনেটের দাম ও প্যাকেজ
কেন স্টারলিংক বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
বাংলাদেশে এখনো অনেক অঞ্চল রয়েছে যেখানে ফাইবার অপটিক বা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছায়নি। এইসব দুর্গম এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য স্টারলিংকের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট হতে পারে একটি কার্যকর ও টেকসই সমাধান।
এই সেবা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থী, উদ্যোক্তা ও অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করবে। নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ডিজিটালাইজেশনের অগ্রযাত্রা আরও ত্বরান্বিত হবে।
বাংলাদেশে স্টারলিংক চালুর পর কী পরিবর্তন আসতে পারে:
👉 সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
আজ থেকেই অর্ডার করা যাবে
স্টারলিংক বাংলাদেশের আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য আজ থেকেই সংযোগের জন্য অর্ডার নেওয়া শুরু করেছে। তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অথবা নির্ধারিত চ্যানেলের মাধ্যমে গ্রাহকরা সরাসরি অর্ডার করতে পারবেন।
স্টারলিংক সংযোগ নেওয়ার ধাপে ধাপে পদ্ধতি:
👉 স্টারলিংক ইন্টারনেট সংযোগ গাইড
ইতিহাসের অংশ হলো বাংলাদেশ
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরামর্শ অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়, যা আজ বাস্তবায়িত হলো।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ প্রসঙ্গে জানান, এই উদ্যোগ দেশের ডিজিটাল অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নেবে।
বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিপ্লবের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ:
👉 স্টারলিংক কি বাংলাদেশের ইন্টারনেট বিপ্লব ঘটাবে?
শেষ কথা
স্টারলিংকের মতো বৈপ্লবিক প্রযুক্তি যখন বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে যায়, তখন সেটি কেবল প্রযুক্তিগত নয় বরং সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেয়। যদিও প্রাথমিকভাবে খরচ কিছুটা বেশি, তবে নিরবচ্ছিন্ন, নির্ভরযোগ্য ও দ্রুতগতির ইন্টারনেটের জন্য এটি হতে পারে এক দুর্দান্ত বিনিয়োগ।
স্টারলিংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
👉 স্টারলিংক কী? কাজ, সুবিধা, ইন্টারনেট খরচ ও গাইড