সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭-এর ধারা ১০ অস্থাবর সম্পত্তির পুনরুদ্ধারের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে। এই ধারা অনুযায়ী, অস্থাবর সম্পত্তির পুনরুদ্ধার তখনই সম্ভব, যখন তা অবৈধ দখল বা বৈধ মালিকের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। তবে, এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে, যা পূর্ণ করতে হবে:
১. অস্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধারের শর্ত:
ধারা ১০ অনুযায়ী, অস্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার করতে হলে, প্রথমে আবেদনকারীকে প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি সে সম্পত্তির বৈধ মালিক বা অধিকারী এবং তাকে অবৈধভাবে বা অন্য কোনো উপায়ে তার দখল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
২. মামলা করার সময়সীমা:
অস্থাবর সম্পত্তির পুনরুদ্ধারের জন্য, ধারা ১০ অনুসারে, আবেদনকারীকে মামলা করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি, তবে আদালত সাধারণত, দখল পুনরুদ্ধারের জন্য সমুচিত সময়সীমার মধ্যে মামলা করার জন্য আগ্রহী থাকে। এর মানে হলো, যদি কোন ব্যক্তি অস্থাবর সম্পত্তির দখল হারিয়ে থাকেন, তবে তার জন্য দ্রুত মামলা করা বেশি কার্যকরী হবে।
৩. অস্থাবর সম্পত্তির বৈধ দখলকারী:
ধারা ১০ অনুযায়ী, পুনরুদ্ধারের জন্য অস্থাবর সম্পত্তির বৈধ দখলকারী ব্যক্তি অধিকারী হওয়া উচিত। অর্থাৎ, কেবলমাত্র সেই ব্যক্তি, যিনি প্রকৃতপক্ষে সম্পত্তির দখলকারী ছিলেন এবং তাকে অবৈধভাবে বা অন্য কোনো উপায়ে দখল থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তিনি এই আইন অনুযায়ী পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৪. অস্থাবর সম্পত্তির বৈধতা:
অস্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে, আদালতকে এই বিষয়টি দেখতে হবে যে সম্পত্তিটি সঠিকভাবে বৈধ এবং কোনো ধরনের অযোগ্যতা বা ঝামেলা মুক্ত আছে। যেমন, যদি কোনো সম্পত্তি চুরি বা জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করা হয়, তাহলে আইন অনুযায়ী তা পুনরুদ্ধারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
৫. চুক্তি বা অন্য কোনো আইনি ভিত্তি:
ধারা ১০-এর অধীনে পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদনকারী যদি অন্য কোনো চুক্তি বা আইনি ভিত্তি অনুযায়ী দখল হারিয়ে থাকেন, তাহলে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, সে ঐ চুক্তি বা আইনি ভিত্তির অধীনে বৈধ মালিক ছিল এবং তার দখল ফিরে পাওয়ার অধিকারী।
উপসংহার:
ধারা ১০ অনুযায়ী, অস্থাবর সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার সম্ভব তখনই, যখন সেই সম্পত্তির দখল অবৈধভাবে বা অন্য কোন অসৎ উপায়ে অধিকারী থেকে ছিনতাই করা হয়েছে। এর জন্য আবেদনকারীকে তার বৈধ মালিকানা প্রমাণ করতে হবে এবং যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।